‘নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে’
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে না এসে ও মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলে অধিকার হরণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন, এতে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আগামীতে কোন কাজগুলো করবেন—এমন প্রশ্নে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইশতেহার অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন। সেই সঙ্গে ইশতেহারে উল্লেখিত জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট মুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন।
মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেবেন। এর আগে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন এবং তিনি (আনোয়ারুজ্জামান) দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে সহযোগিতা নেবেন বলেও মন্তব্য করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দলমত–নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যেতে চান। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে তিনি উন্নয়নের জন্য জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে যাবেন।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সিটি করপোরেশনকে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চান মন্তব্য করে বলেন, ‘আমার তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে।’ এ ছাড়া প্রবাসীদের ব্যাপারে তিনি সচেষ্ট থাকবেন। যারা প্রবাসীদের জায়গা জমি দখল করে রেখেছেন, তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় দেবেন এরপর তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আপনারা নিউজ করবেন। যেটা আমার জন্য ইতিবাচক হবে। সাংবাদিকরা নিউজ না করলে জনপ্রতিনিধিরা উদাসীন হয়ে যান। তারা “হুলুরে” হয়ে যান।’ তিনি যাতে আগামী ৫ বছর ‘হুলুরে’ না হন এ জন্য বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করার আহ্বান জানান। এতে তিনি খুশি থাকবেন বলেও মন্তব্য করেন।
এর আগে সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে সাংসদ নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানসহ দলীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে নবনির্বাচিত মেয়র নগরের বন্দরবাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকার নিজের নির্বাচনী ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করেন। এ সময় দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।