ভৈরবে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ ৫ জন নিহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন নারী ও দুজন পুরুষ। তাঁদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন অটোরিকশার চালক শাহিন মিয়া ও রাজন মিয়া। তাঁদের বাড়ি নরসিংদীর পিরিজকান্দি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে দুটি কাভার্ড ভ্যান একই সঙ্গে ভৈরবের দিকে একটি সেতু অতিক্রম করছিল। ওই সময় ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল একটি অটোরিকশা। এতে চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। সেতু অতিক্রম করার পর অটোরিকশাটি কাভার্ড ভ্যান দুটিকে ওভারটেক করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি বাস আসতে দেখেন অটোরিকশার চালক। পরে ওভারটেক করে দুটি কাভার্ড ভ্যানের মাঝের ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়েন অটোরিকশার চালক। ওই সময় পেছনের কাভার্ড ভ্যানটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ছিটকে দূরে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা শাফায়েত মিয়া দুর্ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন। তিনি জানান, কাভার্ড ভ্যান দুটি পাশাপাশি চলছিল। সামনের কাভার্ড ভ্যানটি সড়কের মাঝ দিয়ে চলছিল। আর পেছনের কাভার্ড ভ্যানটি চলছিল সড়কের বাঁ পাশ ঘেঁষে। অটোরিকশাটি ছিল সবার পেছনে। এই অবস্থায় ওভারটেক করার সময় অটোরিকশার চালক সামনের অবস্থা দেখতে পাননি। দ্বিতীয় কাভার্ড ভ্যানটি ওভারটেক করতে সামনে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িটি সামনে চলে আসে। তখন দ্রুত দুই কাভার্ড ভ্যানের মাঝে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছনের ভ্যানটি সজোরে ধাক্কা দেয়। তখন বিকট শব্দ হয়।
এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ লাশ ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সঙ্গে কাভার্ড ভ্যান দুটিও জব্দ করা হয়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যান দুটির চালকেরা পালিয়ে গেছেন।