গজারিয়ায় সাংবাদিক-পুলিশের ওপর হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, সাংবাদিক-পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর করে নির্বাচনী কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের অভিযোগে হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হককে (মিঠু) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জুবায়ের।
মনিরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১ এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এ সম্পর্কে মো. জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে মনিরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই দিন উপজেলার ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিন হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দখল ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা হয়। পুলিশ বাধা দিলে ককটেল ফাটিয়ে তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলজার হোসেন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। এতে চেয়ারম্যান মনিরুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। দুটি মামলায় ২১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হক রয়েছেন।
এদিকে গত শনিবার রাতে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে মনিরুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আর কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।