বাগেরহাটে বিরোধের জেরে যুবক খুন, অভিযোগের তির বিএনপি নেতা দুই মামার দিকে
বাগেরহাটের কচুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পলাশ শেখ (৩৬) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের মা হেলেনা বেগমের দাবি, তাঁর দুই ভাই ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুর রব ও কবির হোসেনের নির্দেশে পলাশকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আর পুলিশ বলছে, নিজেদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
পলাশ শেখ কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে আছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন চাকরিচ্যুত সাবেক সেনাসদস্য ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুর রব এবং তাঁর ভাই ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন। তাঁরা উভয়ই চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সম্পর্কে পলাশের মামা।
পলাশের মা হেলেনা বেগম আজ বুধবার সকালে বলেন, ‘বাবার বাড়িতে পাওয়া প্রায় দেড় বিঘা জমি আমার ভাই বিএনপি নেতা আবদুর রব ও কবির জাল দলিল করে হাতিয়ে নিয়েছে। এই জমি ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে ওই জমি ফেরত চাইলে রব ও কবির আমার ছেলে পলাশকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করে।’
হেলেনার দাবি, হুমকি পাওয়ার পর বাড়ি থেকে বের হননি পলাশ। তবে গতকাল শিমুল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দার ফোন পেয়ে বাইরে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি এলাকার বাইরে থেকে আনা লোকজনকে দিয়ে রব ও কবির তাঁর ছেলেকে খুন করিয়েছেন।
পলাশের বোন সালাম বেগম বলেন, ‘রব ও কবির এই জমি নিয়ে আগেও আমার ভাই ও মাকে কয়েকবার মেরেছে। গতকাল রব, কবির ও আকবরের নেতৃত্বে তারা আমার ভাইকে একেবারে মেরে ফেলেছে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রবের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, পলাশ শেখ প্রথমে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তিকে কোপাচ্ছিলেন। এতে দুজন আহত হন। এর কিছুক্ষণ পরই লোকজন একজোট হয়ে পলাশকে আটকে মারধর শুরু করেন। পলাশের হামলায় আহত দুজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম জানান, নিজেদের মধ্যে বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।