মানিকগঞ্জে সেতুর নিচে পড়ে ছিল কাশিমপুরের কারাকর্মীর লাশ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি সেতুর নিচ থেকে কাশিমপুর কারাগারের অফিস সহকারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার জাগীর সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর গতকাল রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সেতুর ওপর থেকে তাঁর লাশ নিচে ফেলে দেয়।
ওই ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম খান (৫৫)। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের অফিস সহকারী ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাজন দাস গ্রামের আবুল হোসেন খানের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় একটি বাসায় থাকতেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম ঈদ উপলক্ষে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ শহরে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর সেতুর ওপর থেকে লাশ নিচে ফেলে পালিয়ে যায়। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন সেতুর নিচে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রাত ১১টার দিকে শহিদুল ইসলাম তাঁর বড় মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে শেষ কথা বলেন। তখন তিনি মেয়েকে জানিয়েছিলেন যে একটি বাসে তিনি বাসায় আসছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে গতকাল রাতে শহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জ শহরের বাসায় এসেছিলেন। শেষ রাত ১১টার দিকে তিনি তাঁর বড় মেয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তখন তিনি মেয়েকে জানিয়েছিলেন যে একটি বাসে তিনি বাসায় আসছেন। এর পর থেকে তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তাঁর স্বজনেরা থানায় এসে শহিদুলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর (৯৯৯) থেকে পুলিশ জানতে পারে যে জাগীর সেতুর নিচে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। পরে শহিদুল ইসলামের স্বজনেরা লাশটি তাঁর বলে শনাক্ত করেন।
ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশ সেতুর ওপর থেকে নিচে ফেলে দিতে পারে দুর্বৃত্তরা। অথবা সেতুর ওপর থেকে ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।