বিদ্যালয়ের পুকুরের ‘মাছ চুরির সময়’ বনপাড়া পৌর ছাত্রদল সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের পুকুরে জাল ফেলে ‘মাছ চুরির সময়’ এক ছাত্রদল নেতাসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার ভোরে উপজেলার পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই সাতজনকে মাছ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা, ছাত্রদল কর্মী আলমগীর হোসেন, কৌশিক আহমেদ, জামিল হোসেন, রাজু আহমেদ, তুষার হোসেন, সুমন আলী ও আমজেল হোসেন।
বড়াইগ্রাম থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য ১০-১২ জন তরুণ জাল, ভ্যান ও একটি ট্রাক নিয়ে হাজির হন। তাঁরা জাল দিয়ে মাছ ধরে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আমজাদ হোসেন ঘটনাটি দেখে ফেলেন এবং তিনি তাৎক্ষণিক চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে সাতজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বাকিরা পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে মাছ ধরার জাল, একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ আটক সাতজনকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের নামে মাছ চুরির মামলা করেন। মামলায় আটক তরুণদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাদী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, পারকোল উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠসংলগ্ন দেড় বিঘার মতো আয়তনের একটি পুকুর আছে। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়েছে। আটক তরুণেরা এই মাছ চুরির প্রস্তুতি নিলে হাতেনাতে তাঁদের আটক করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা জানিয়েছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে ঘটনাটি সত্য কি না, তা দেখা হবে। প্রয়োজনে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। আটক তরুণদের রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।