বাড়ির পাশে খালে পড়ে ছিল গৃহবধূর মৃতদেহ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার রামনগর গ্রামের আমতলা-চন্দ্রপুর সড়কের পাশে ওয়াপদা খাল থেকে পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর নাম মিম খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার রামনগর গ্রামের ইয়াসিন মোল্যার মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম রমজান আলী। তাঁর শ্বশুরবাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সিলুমপুর গ্রামে। তবে তিনি সপরিবারে যশোরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, আজ সকালে রামনগর গ্রামের দুই শিশু আমতলা-চন্দ্রপুর সড়কের পাশে আমড়া কুড়াতে যায়। এ সময় তারা খালের পাড়ে এক জোড়া স্যান্ডেল দেখে বাড়ির লোকজনকে জানায়। পরে বাড়ির লোকজন সেখানে গিয়ে খালটির পানিতে মিম খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সেখানে তাঁর শরীরের কিছু অংশ পানিতে ডুবে ছিল। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মিমের চাচা এনামুল মোল্যা জানান, মিমের মা বেঁচে নেই; বাবার বাড়িতেই থাকতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর তাঁর বাবা ইয়াসিন মোল্যা পাশের বিলে মাছ ধরতে যান। এরপর শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে মিম এবং অন্য কক্ষে তাঁর দুই ছোট ভাই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু আজ সকাল থেকেই মিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খালে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। মরদেহের গলার বাম পাশে দুটি কালচে দাগ এবং মুখের চোয়ালে হালকা দাগ আছে। তবে মিম কীভাবে মারা গেছেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না।
উদ্ধারের পর মিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহটির শরীরের বাইরের অংশে জখমের দৃশ্যমান কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেটি জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।