ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ে, চার বছর পর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে পলাতক
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শামীমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাট চান্দিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শামীমার পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে স্বামী মাসুদ ওরফে মাসুমের হাতে খুন হয়েছেন শামীমা। এ ঘটনার পর থেকে মাসুদ পলাতক।
অভিযুক্ত মাসুদ উপজেলার মাওরাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
শামীমার বড় বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, শামীমার আরেক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যেই মাসুদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে শামীমাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাসুদ। পরে মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলা থেকে রক্ষা পেতে চার বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে মাসুদকে নিয়ে চান্দিনা গ্রামে বাবার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামীমা। তাঁদের দুই সন্তান আছে।
গতকালের ঘটনার বিষয়ে তাছলিমা বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন মাস বয়সী ছেলেকে দুধ পান করাচ্ছিলেন শামীমা। এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান মাসুদ। একপর্যায়ে শামীমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে পালিয়ে যান তিনি। পরে শামীমাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানান, নিহত শামীমার গলায় (ঘাড়ে) দুটি, ডান হাতের আঙুলে একটি ও দুই হাতের বাহুতে দুটি কোপের চিহ্ন আছে।