রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ যহুর আলী
রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক মু. যহুর আলী। তিনি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। আজ সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগর উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মু. যহুর আলী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখে বিকেলে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। একই আদেশের চিঠিতে এর আগে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনারুল হককে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী নগরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করে আন্দোলন করে আসছিলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মধ্যেই ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি কলেজে আসেন। তাঁর আসার আগে কলেজে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের সহযোগিতায় প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করেন। পরে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি একটি সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে কলেজ ত্যাগ করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, বাইরের কলেজের এক অধ্যক্ষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন। শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তিনি সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের মদদে বুদ্ধিজীবী কলেজের পদও দখল করেছেন। তবে অধ্যাপক আনারুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তিনি কোনো দলের হয়ে কাজ করেননি।
গত ১২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বদলির আবেদন করেন রাজশাহী কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহা. আবদুল খালেক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অধ্যক্ষ মোহা. আবদুল খালেককে পাশে পাননি তাঁরা।