ফেনীতে সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার

ফেনী জেলার মানচিত্র

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় এক সাংবাদিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পরিচালিত র‍্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সাংবাদিকের নাম আবুল হোসেন (৪০)। তিনি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় দৈনিক দেশ রূপান্তর–এর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেন ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম (৬১), দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি তপন চন্দ্র দাস (৩৮)।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মহীপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। এ অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি চালিয়ে হামলা করেন। এতে ঘটনাস্থলে আটজন নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হন শতাধিক ছাত্র-জনতা। হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় আটটি হত্যা মামলা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে আরও আটটি। এসব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই সাংবাদিক আবুল হোসেনকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৮ নভেম্বর নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবদুর রব বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় ১৪২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৭০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আবুল হোসেন এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁকে ফেনী সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, গ্রেপ্তার তপন চন্দ্র দাসকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাজুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা পৃথক একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।