গাজীপুরে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ-ভাঙচুর, ঠেকাতে কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান
গাজীপুরে চাকরি পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে বেশ কয়েকটি স্থানে পোশাকশ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। আজ বুধবার সকালে চান্দনা চৌরাস্তা, সাইনবোর্ড, জিরানি বাজার, কোনাবাড়ী, বাসন, বাঘের বাজার প্রভৃতি এলাকায় তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিক থেকে ‘বেকার সংগঠন’ নামে একটি দল গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা ও আশপাশের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় তাঁদের প্রতিহত করতে কারখানার শ্রমিকেরা অবস্থান নেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পিছু হটেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শিল্প পুলিশের সদস্যরা। এরপর তাঁরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
শ্রমিকনেতা আরমান হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ বেকার সংগঠনের সঙ্গে গতকাল আমরা আলোচনা করেছি। আজ থেকে তাঁদের কোনো কর্মসূচি থাকার কথা ছিল না। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে বেকারত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের এসপি তাঁদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও আজ সকালে ৪০০–৫০০ মানুষ বাইপাসে একত্র হয়ে আন্দোলনে নামেন।’
এ ছাড়া সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরের সাইনবোর্ড, জিরানি বাজার, কোনাবাড়ী, সদর উপজেলার বেশ কিছু স্থানে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক আটকে রাখেন। পরে ১১টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
এদিকে শ্রমিক নিয়োগে নারী–পুরুষের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ সকালে গাজীপুর নগরের বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
নগরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কয়েক দিন হলো বিভিন্ন সংগঠনের নামে আন্দোলন হচ্ছে। এ জন্য আমরা স্টাফ ও শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করেছি। কারখানার বাইরে তাদের প্রতিহত করতে অবস্থান নিয়েছি। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, আজ সকাল থেকে কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছেন।