সন্দেহ দূর করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম বন্দরের জ্বালানি তেল খালাসের জেটিতে নোঙর করে রাখা ট্যাংকারে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায়ফাইল ছবি

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুই ট্যাংকারে পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এ সন্দেহ যাতে দূর হয় বা প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ৯ থেকে ১০ সদস্যের একটি বড় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার নেপথ্যে সন্দেহজনক কিছু আছে কি না, তাঁরা বের করবেন।

আজ রোববার দুপুরে বিএসসি কার্যালয়ে নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। এর আগে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

গত সোমবার বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতিতে’ বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছিলেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে সংস্থাটির আরেকটি ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার সৌরভে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকজন নাবিক নিহত হন।

এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এমটি বাংলার সৌরভের দুর্ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে সন্দেহ করে আসছিলেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভয় ছিল, যদি তেলে বিস্ফোরণ হতো, তাহলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত। তবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বন্দরসহ সবাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা।’

চীন থেকে ছয়টি জাহাজ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একটি দল কাজ করছে দাম নির্ধারণের জন্য। আমরা দাম কমানোর চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্ট আছে, তা দুদকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুদক তদন্ত করবে।’