জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষি কার্যকর সমাধান হতে পারে: বাকৃবি উপাচার্য

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসএ ২৩তম জাতীয় ও দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। আজ শনিবারছবি: প্রথম আলো

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষি অত্যন্ত কার্যকর সমাধান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। আজ শনিবার বাংলাদেশ অ্যাগ্রোনমি সোসাইটির (বিএসএ) ২৩তম জাতীয় ও দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপাচার্য।

সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই শস্য উৎপাদনে স্মার্ট কৃষিতত্ত্ব’। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের কৃষি খাতে প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আবাদি জমি কমে যাওয়া, মাটির উর্বরতা হ্রাস এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাব ফসল উৎপাদন হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ১৫ শতাংশ ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকের মোট আয় প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। প্রতিবছর দেশের প্রায় ১০ শতাংশ আবাদি জমি আবাদ উপযোগিতা হারায়। এমন বাস্তবতায় স্মার্ট কৃষিপদ্ধতির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।

বিএসএর সভাপতি অধ্যাপক নূর আহমেদ খন্দকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নীতকরণ কেন্দ্রের (সিমিট বাংলাদেশ) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী দেবাশীষ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ভিয়েতনাম শাখার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার সাসো মার্টিনভ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এম মঈনুল হক, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার, বাংলাদেশে ইরির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হামনাথ ভান্ডারি প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে আটটি টেকনিক্যাল সেশন ও একটি পোস্টার সেশনে মোট ২০৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ১০০টি মৌখিক ও ১০৫টি পোস্টার প্রবন্ধ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।