ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আড়াই শ রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা
বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক রোগী। ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ এ চিকিৎসাশিবিরের আয়োজন করে।
ট্রান্সকম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান এবং তাঁর নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন স্মরণে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বটতলি গ্রামের বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
‘মানবতার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা’ শীর্ষক চিকিৎসাশিবিরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এ সময় রোগীদের পরামর্শপত্র ও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সকালে চিকিৎসাশিবিরের উদ্বোধন করেন এসকেএফ–এর নরসিংদী ও রায়পুরা উপজেলার জ্যেষ্ঠ ফিল্ড ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসকেএফ–এর জ্যেষ্ঠ মেডিকেল সার্ভিসেস অফিসার কবিরুল হাসান ও মেডিকেল সার্ভিসেস অফিসার আবুল হাসনাত, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আহাদ আলী, প্রথম আলোর নরসিংদী প্রতিনিধি প্রণব কুমার দেবনাথ ও প্রথম আলো বন্ধুসভা নরসিংদীর সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসার খবর কয়েক দিন ধরে আশপাশের গ্রামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন বটতলি গ্রামের বাসিন্দা রিপন মিয়া।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। বিনা মূল্যে ডাক্তার দেখানো যাবে জেনে তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছেন। মায়ের মুখে রোগের বৃত্তান্ত শুনে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন।
এমন উদ্যোগের জন্য ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম (৪৮) নামের স্থানীয় এক রোগী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকি, যেখানে ডাক্তার নেই বললেই চলে। শহরে গেলেই কেবল ডাক্তার মেলে। দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছি। ব্যস্ততার কারণে ও সুযোগের অভাবে শহরে যাওয়া হচ্ছিল না। বাড়ির কাছে আজ ভালো ডাক্তার পেয়ে দেখিয়েছি।’
নাতি ফারাজ হোসেনকে ভালোবেসে লতিফুর রহমান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া গ্রামের বাগানঘেরা বাড়ির নামকরণ করেন ফারাজ মঞ্জিল। সেই ফারাজ মঞ্জিলেই ২০২০ সালের ১ জুলাই মারা যান তিনি। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ফারাজ হোসেন।