তালাবদ্ধ ঘর থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, মা–বাবার খোঁজ নেই
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার হযরত আলীর ভাড়া দেওয়া ঘর থেকে পুলিশ ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আশরাফুল আলম (৩০) নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার কানুহারী (করাচাপুর) গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে আশরাফুলের মা–বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, আশরাফুল ইসলামের বাবা ওমর ফারুক স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার হযরত আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তাপ্রহরীর চাকরি করেন। তাঁর ছেলে আশরাফুল আলম টঙ্গী এলাকায় থাকতেন। তিনিও একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আশরাফুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি টঙ্গী থেকে প্রায়ই বাঘের বাজার মা–বাবার কাছে এসে নেশার জন্য টাকা চাইতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হতো। এমনকি টাকা না দিলে আশরাফুল মা–বাবাকে মারধরও করতেন। সবশেষ গত শুক্রবার আশরাফুল বাঘের বাজারে বাবার ভাড়া বাসায় আসেন। এ সময় টাকার জন্য তাঁর মাকে মারধর করেন।
গতকাল সকালে প্রতিবেশীরা তাঁদের ঘরে বাইরে থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। সন্ধ্যা হলেও তাঁরা না আসায় আশপাশের ঘরের লোকদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও জয়দেবপুর থানা–পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় খাটের নিচে আশরাফুল আলমের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশে একটি চাপাতি ছিল।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছেলের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মা–বাবা শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তাঁকে ঘুমের মধ্যে হত্যা করে থাকতে পারে। পরে রাতেই ঘরে তালা দিয়ে মা–বাবা পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।