রাজশাহীতে মেয়র খায়রুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবারও মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করে রাজশাহীর উন্নয়নে ও রাজশাহীবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে জয়ী করতে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছেন। এ জন্য আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক, সহসভাপতি শাহীন আকতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, তবিবুর রহমান, নাঈমুল হুদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মেয়র খায়রুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে এবং নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রী জাহানারা জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবাহ বাড়ানো, নৌবন্দর স্থাপন, নৌবাণিজ্য চালুসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ করা হবে। রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালুর বিষয়ে কথা হয়ে আছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান বলেন, ভোটে নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। নারীরা ও নতুন ভোটাররা তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন। বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাজশাহীর নির্বাচনকে দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহী সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত। এখানে কোনো সহিংসতা হয়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী ছিল। তারপরও দু-একটি ছাড়া তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।