লোকালয়ের মন্দিরের বেড়ার জালে অজগর, পরে সুন্দরবনে অবমুক্ত
খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের পাশের শাকবাড়িয়া নদীতীরের লোকালয় থেকে প্রায় সাত ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলার শাকবাড়িয়া নদীতীরের ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের শ্মশান মন্দিরের সীমানা থেকে অজগরটি উদ্ধার করেন বনরক্ষীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের পাশেই শাকবাড়িয়া নদী। আর নদীর ওপারে সুন্দরবন। আজ সকালে নদীর তীর ধরে গ্রামের মন্দিরের কাছে গিয়ে দেখি, মন্দিরের সীমানা বেড়ার জালে একটি সাপ আটকে আছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটি রাসেলস ভাইপার। পরে এলাকার লোকজন জানান, এটি অজগর। পরে বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়।’
সুন্দরবনের শাকবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে ৬ নম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা সাপটিকে উদ্ধার করতে খবর পাঠায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বনপ্রহরীদের নিয়ে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। সকাল ১০টার দিকে অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
খাবারের সন্ধানে বা উপযুক্ত পরিবেশের খোঁজে অজগরটি বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসতে পারে জানিয়ে বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, সাপ সাধারণত বনের ভেতরে উঁচু স্থানে ডিম পেড়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, জোয়ারের সময় বনের ভেতরের উঁচু জায়গাগুলোও প্লাবিত হয়।
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, অজগর বা বন্য প্রাণী যে শুধু এসব কারণে বন থেকে বেরিয়ে আসছে, বিষয়টি তা নয়। সুন্দরবনের একেবারে কাছেই মানুষের বসতি গড়ে উঠছে। এতে অনেক সময় প্রাণীগুলোর বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সুন্দরবন থেকে অজগর বেরিয়ে আসার বিষয়ে গবেষণা করে এ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।