জামালপুরে বিএনপির পদযাত্রায় আ.লীগের হামলার অভিযোগ, আহত ২০
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলার সময় জামালপুর জেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিএনপির ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৩৪টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ৪টি শেল নিক্ষেপ করেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকে আজ শনিবার সকালে সারা দেশের মতো জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা বিএনপির একাধিক নেতার অভিযোগ, পদযাত্রা কর্মসূচির সময় সদর উপজেলার তিতপল্লা, ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এতে বিএনপির জয়নাল আবেদীন, শাহীন, যুবদলের জাহাঙ্গীর আলমসহ ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের রাজনীতিই তো মিথ্যাচারের ওপরে। নির্ধারিত স্থানে আজ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ছিল। তাঁদের ছিল পদযাত্রা। তাঁরা পদযাত্রা নিয়ে এসে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। মূল ঘটনা হচ্ছে এটা। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তাঁরা বলতেছে, ওদের পদযাত্রায় আমরা হামলা করেছি।’
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিএনপি হামলা করে। এ সময় পুলিশ গেলে পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ৩৪টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ৪টি শেল নিক্ষেপ করে।
তবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী ওরফে মামুন অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার তিতপল্লা, ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এতে বিএনপির অন্তত ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। এসব ঘটনায় উল্টো পুলিশ তিতপল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজগরসহ মোট ছয়জনকে আটক করেছে।
‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি’র প্রতিবাদে এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও নেতা–কর্মীদের মুক্তি’সহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।