খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচের পরিকল্পনা করেছেন জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম। তিনি নির্বাচনে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে চান। তারপরই রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবুদল খালেক। তিনি নির্বাচনে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন।
প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে হলফনামার পাশাপাশি নির্বাচনের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শফিকুল ইসলাম ও আবদুল খালেকের পাশাপাশি রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আউয়াল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া আয়–ব্যয়ের হিসাবে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের আবদুল খালেক নিজেদের ব্যবসার টাকা নির্বাচনে খরচ করবেন। তাঁরা কারও কাছ থেকে ধার বা অনুদান নিচ্ছেন না।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের আবদুল আউয়াল নির্বাচনে ব্যয় ধরেছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে এক লাখ টাকা তাঁর নিজের। বাকি টাকা তিনি পাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজন, ধার ও দলের স্বেচ্ছা–অনুদান থেকে। জাকের পার্টির সাব্বির হোসেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করছেন। এর মধ্যে ৬৫ হাজার টাকা তাঁর নিজের, যা তিনি ব্যবসা থেকে সরবরাহ করবেন। নির্বাচনী অন্যান্য ব্যয় আসবে আত্মীয়-স্বজন, ধার ও দলের স্বেচ্ছা–অনুদান থেকে।
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি এক লাখ পোস্টার তৈরির কথা উল্লেখ করেছেন তালুকদার আবদুল খালেক। সবচেয়ে কম ৩০ হাজার পোস্টার করার ঘোষণা দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। এক লাখ পোস্টার তৈরি করতে খালেকের খরচ হবে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। আর শফিকুলের খরচ হবে ৯০ হাজার টাকা।
এদিকে আবদুল আউয়াল ও সাব্বির হোসেন ৫০ হাজার করে পোস্টার তৈরি করবেন। এ জন্য তাঁরা ব্যয় ধরেছেন দেড় লাখ টাকা করে।
শফিকুল ইসলাম তাঁর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীতে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচের খাত দেখিয়েছেন কর্মীদের পেছনে। ওই খাতে তিনি ব্যয় করবেন ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যান্য বিভিন্ন খাতেও তাঁর ব্যয় সবচেয়ে বেশি। তিনি বিবিধ খাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা। আবদুল খালেক কর্মীদের পেছনে খরচ ধরেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা। আর বিবিধ খরচ ধরেছেন ১৫ হাজার টাকা। আবদুল আউয়াল কর্মীদের পেছনে ৬০ হাজার টাকা খরচ করতে চান। কর্মী ও বিবিধ খাতে সাব্বির হোসেনের কোনো খরচই হচ্ছে না বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোস্টার কম তৈরি করে লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বেশি করে তৈরি করা হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে হ্যান্ডবিল পৌঁছে দেওয়া হবে। নির্বাচনে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা নিয়ে মাঠে নামলেও সব মিলিয়ে ১৮ লাখ টাকার বেশি খরচ করা হবে না।’
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে প্রচার–প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।