ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনেছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার অভিযোগে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মামলা তুলে নেওয়াসহ তিন দাবিতে নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রথম দুটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবি হলো শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে বিগত প্রশাসনের করা স্বৈরাচারী বহিষ্কারাদেশ বাতিল এবং ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ছাত্রলীগের হামলার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ও অমর্ত্য-ঋদ্ধর বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক সোহেল আহমেদকে অবিলম্বে সহ-উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রশাসনকেও তাঁরা দাবির বিষয়টি জানিয়েছে। কিন্তু গতকাল তাঁরা জানতে পেরেছেন, ছাত্র ইউনিয়নের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ তাঁরা নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তিন দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছি। প্রশাসনিক ভবনে কাউকে প্রবেশ এবং বের হতে দিচ্ছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতি মুছে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকার অভিযোগ উঠে অমর্ত্য ও ঋদ্ধর বিরুদ্ধে। পরে এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।