বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ফুলের তোড়া ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

বিএনপির লোগো

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দেওয়া এবং নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছিত করে ফুলের তোড়া ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাঁতভাঙা বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন দাঁতভাঙা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ফুল দিতে উপস্থিত হন উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়ন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির মূল দলের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে যান। এ সময় দাঁতভাঙা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সফিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফরিজ উদ্দিন তাঁর লোকজন নিয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটির নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে বাধা দেন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে ফুলের তোড়া ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

দাঁতভাঙা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিজ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। তারা মূলত দলের এবং আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

দাঁতভাঙা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার পপুলারিটি (জনপ্রিয়তা) নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এসব গ্রুপকে দিয়ে অভিযোগ করেছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। জিয়া সাইবার ফোর্সের দাঁতভাঙা ইউনিয়ন সভাপতি ও সম্পাদক আওয়ামী লীগের কমিটিতে ছিল এবং তাদের সুবিধাভোগী। তাই আমাদের দলের লোকজন তাদের ফুল দিতে বাধা দিয়েছেন। তবে তাদের দলের অন্যরা ফুল দিয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদবেদিতে ফুল দেওয়ার সময় তোড়া ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি দুঃখজনক। সেটা যে–ই করুক, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দু-এক দিনের মধ্যে দলীয় ফোরামে এর বিচার চাওয়া হবে।’

রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কী কারণে জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছিত এবং তোড়া ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে।