গাজীপুরে পিকআপ ভ্যানে ডাকাতি, ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
গাজীপুরে মুরগি পরিবহনের পিকআপ ভ্যানে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে গাড়িতে থাকা ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলামকে (২০)। আজ রোববার ভোরে কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ পিকআপ ভ্যানের চালককে আটক করেছে।
নিহত জাকিরুল ইসলাম ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মমরেজপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি গাজীপুর নগরে মুরগি বিক্রির ব্যবসা করতেন। আটক পিকআপ ভ্যানের চালক হৃদয় মিয়া (২৭) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মাধখোলা গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
জাকিরুল ইসলামের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে কাপাসিয়ার একটি ফার্মের মুরগি কেনার জন্য পিকআপ ভ্যানে রওনা হন জাকিরুল। তাঁর কাছে ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং সঙ্গে ছিলেন আরেক ব্যবসায়ীর ভাই। রাত ৯টার দিকে ওই পোলট্রি ফার্মে তাঁদের পৌঁছার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছায় মুরগির দোকানি মাসুদকে ফোন দেন পোলট্রি খামারের মালিক। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাসুদ গাড়িচালক হৃদয়কে ফোন দেন। হৃদয় তখন জানিয়েছিলেন ৩০ মিনিটের মধ্যে পোলট্রি ফার্মে পৌঁছাবেন তাঁরা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই পিকআপে থাকা অন্য সবারও মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
আজ ভোররাত চারটার দিকে চালক হৃদয় কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক দোকানিকে ডাকাতির ঘটনাটি জানান। এ সময় হৃদয় বলেন, ডাকাত দল গলা কেটে জাকিরুলকে হত্যা করেছে। লাশ তাঁর গাড়িতেই রয়েছে। ডাকাতেরা তাঁকেও ছুরিকাঘাত করেছে। ওই দোকানি কাপাসিয়া থানায় খবর দেন।
পরে পুলিশ পিকআপ ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ চালক হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় চালক হৃদয়কে আটক রাখা হয়েছে। আমাদের ধারণা, তাঁর সঙ্গে ডাকাত দলের সম্পর্ক আছে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা টাকা ডাকাতির ভাগের হতে পারে। নিহত ব্যক্তির বাবা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’