নিজের জমিতে মাটি কাটার সময় চাঁদা দাবি, না দেওয়ায় মারধরের শিকার
ফেনীর পরশুরামে নিজের মালিকানাধীন জমির মাটি কাটছিলেন বাহার উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি। মাটি কাটার কারণে একদল যুবক চাঁদা দাবি করে তাঁর কাছে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ও তাঁর জমিতে কর্মরত দুই শ্রমিককে মারধর করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন জমির মালিক বাহার উদ্দিন (৪০), পাওয়ার ট্রলির শ্রমিক আবদুর রহিম (৩২) ও আলমগীর (২৭)। আহত বাহার উদ্দিন পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের বাহার উদ্দিন ঘরের কাজে ব্যবহারের জন্য নিজ মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কাটার জন্য পাওয়ার ট্রলিসহ দুই শ্রমিক নিয়ে জমিতে যান। এ সময় স্থানীয় বাবলু, তানভীর, ইউনুছ ও মজু মিয়া জমির মালিক বাহার উদ্দিনের কাছে প্রতি ট্রলি মাটির জন্য ১০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। বাহার উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা ট্রলির দুই সহকারী আবদুর রহিম ও আলমগীরকে মারধর করে চাঁদাবাজেরা।
আহত বাহার উদ্দিন বলেন, হামলা ও মারধরের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে উপজেলার পশ্চিম সাহেবনগর গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে তানভীর আহমেদ (২৬), নোয়াপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে বাবলু মিয়া (২৭), দুর্গাপুর গ্রামের বাহার মিয়া ছেলে ইউনুছ মিয়া (৪০) ও একই গ্রামের নুর আহমদের ছেলে মজু মিয়ার (৩০) নাম উল্লেখ করে পরশুরাম মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে একই দিন দুপুরে উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের মো. মাসুদ নিজের জমিতে মাটি কাটতে গেলে চাঁদার দাবিতে স্থানীয় কয়েক যুবক তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত মজু মিয়া বলেন, বাহার উদ্দিন পেশাদার মাটি ক্রেতা। মাটি কাটা নিয়ে হালকা বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, ‘রোববার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’