পৌনে দুই ঘণ্টায় বগুড়ার কোনো কোনো বুথে ভোট পড়েছে দুই থেকে চারটি
সকাল থেকেই ফাঁকা ভোটকেন্দ্র। অলস বসে থাকতে দেখা যায়, ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের। কেন্দ্রের মাঠে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও অলস দাঁড়িয়ে। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে বগুড়া সদরের বারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
এ কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ২৪০ জন। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৪০টি। কেন্দ্রের আটটি বুথের মধ্যে প্রথম পৌনে দুই ঘণ্টায় কোনো কোনো বুথে ভোট পড়েছে দুই থেকে তিনটি করে। ২ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ৪১৬। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন তিনজন কর্মকর্তা। পৌনে দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র দুটি। বুথ নম্বর ৩ ও ৭-এ ভোটার সংখ্যা যথাক্রমে ৪১৫ ও ৩৯৬। পৌনে দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ছয়টি করে।
বারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটারের খরা। অলস বসে আছেন ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।
সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া সদর উপজেলার চাঁদমুহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্র ফাঁকা। ভোটারের আনাগোনা নেই। এ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৭। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৮৬টি। কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র দুটি। ৩ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে চারটি।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩ শতাংশ। সদরের নামুজা ইউনিয়নের টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রে ২ হাজার ২০৯ ভোটার এবং নারী কেন্দ্রে ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ৫২। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত পুরুষ কেন্দ্রে ১৩ শতাংশ এবং নারী কেন্দ্রে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন এবং বগুড়া পৌরসভা নিয়ে বগুড়া-৬ আসন। এ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহণের জন্য ১৪৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ১৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ২ হাজার ৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা কাজ করছেন।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। ১৪-দলীয় জোটের শরিক জাসদ থেকে মশাল প্রতীকে লড়ছেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক এবং লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ। আপেল প্রতীকে মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদার রহমান ও একতারা প্রতীকের প্রার্থী আলোচিত হিরো আলম। কুড়াল প্রতীকে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল। ভোটের মাঠে আরও আছেন গণফ্রন্টের আফজাল হোসেন (মাছ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (বটগাছ), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. ফয়সাল বিন শফিক (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিব হাসান (কুমির)।