দীঘিনালায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, ভাঙচুর
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় পর্যটকবাহী গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ সময় পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
এ সম্পর্কে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়ে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় পর্যটকদের খাগড়াছড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অবরোধ চলছে। ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে সোমবার সকাল থেকে জেলার সড়কগুলোয় দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের ভেতরে কয়েকটি ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও জেলাজুড়ে কঠোরভাবে চলছে সড়ক অবরোধ।
অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস, চেঙ্গীব্রিজ, স্বনির্ভর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেন। এ ছাড়া পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। পিকেটাররা জেলার মানিকছড়ি, দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মী দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। নিহত নেতা-কর্মীরা হলেন ইউপিডিএফের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা (২৯), ইউপিডিএফ–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৯) ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
এ ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার চাচা নিরূপম চাকমা বাদী হয়ে পানছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।