দিনভর বৃষ্টিতে দুর্ভোগ, কাল যেমন থাকবে আবহাওয়া

বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থীকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবক। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায়ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রামে আজ সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসমুখী লোকজন যানবাহনের স্বল্পতায় কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা এই বৃষ্টি হচ্ছে। একই কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উপকূলীয় এলাকা ও বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কাল মঙ্গলবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আলী আকবর খান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এ কারণে বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতের পাশাপাশি চট্টগ্রামে ভূমি বা পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

এদিকে তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। ভারী বৃষ্টির সময়ে নগরের নিচু এলাকা বাকলিয়া, চান্দগাঁও কাপাসগোলা, হালিশহরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি মিশে এই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

আজ সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমেছে। অনেকে কাকভেজা হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছেছে। নগরের জামালখান মোড়ে বেলা ১১টায় দেখা যায় ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সেন্ট মেরীস স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভিড়। এর মধ্যে বেশির ভাগই ভিজে গেছে। সাইদুল হক নামের এক অভিভাবক বলেন, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা কম। তাই কাকভেজা হয়ে হেঁটে হেঁটে মেয়েকে স্কুলে আনতে হলো।