দল-মতনির্বিশেষ সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে বরিশালের উন্নয়ন করতে চাই: খায়ের আবদুল্লাহ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়ার পর নগরবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভালোভাবে নিয়েছে, তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাসের প্রতিফলন আমার বিজয়, বিপুল ভোটের সংখ্যা। আমি কাউকেই বাদ দিতে চাই না। দ্বিধাবিভক্তি চাই না, আর এটা কখনোই ভালো কাজও না। দল-মতনির্বিশেষ সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে আমি বরিশাল নগরের উন্নয়ন করতে চাই, তাদের সেবা দিতে চাই।’
মঙ্গলবার দুপুরে নগরের সার্কুলার সড়কে খায়ের আবদুল্লাহর বাড়িতে নেতা-কর্মীরা শুভেচ্ছা জানাতে যান। এ শুভেচ্ছার জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন খায়ের আবদুল্লাহ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ।
খায়ের আবদুল্লাহ বলেন, ‘নগরবাসীর সুখে-দুঃখে আমরা দুজনই (স্ত্রীসহ) পাশে থাকব। বিভিন্ন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় আমি নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগে থেকেই খায়ের আবদুল্লাহর পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ। প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। উঠান বৈঠকসহ চালিয়েছেন নানা তৎপরতা।
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন, স্বামীর পক্ষে এসব সমস্যা সমাধানে আশ্বাসও দিয়েছেন।
খায়ের আবদুল্লাহ বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, সেই ভালোবাসার মর্যাদা যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সে জন্য মহান আল্লাহপাক আমাকে শক্তি দান করুন।’
নিজের ৩৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত এই প্রার্থী বলেন, ‘আমার প্রতিশ্রুতির সব কটি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করব। কারণ, আমার প্রতিশ্রুতির কোনোটাই বাদ দেওয়ার নয়। তবে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোকে যাচাই-বাছাই করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সব কটি বাস্তবায়ন করবে। আমার ইশতেহার বরিশালবাসীর জন্য, মানুষের উন্নয়নের জন্য।’
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি নবনির্বাচিত মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় জাহিদ ফারুক বলেন, ‘সুখী-সমৃদ্ধ বরিশাল গড়ার যে স্বপ্ন নগরবাসীর রয়েছে, তা পূরণ করবেন নতুন মেয়র। শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে নগরবাসী বিচ্ছিন্ন ছিল। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হব। আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বরিশালের উন্নয়ন আপনারা শিগগিরই দেখতে পাবেন। অবিলম্বে আমরা ভাঙা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করব।’
কয়েক মাস আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নগরের সাতটি খাল খননের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এতে অসম্মতি জানানোয় ওই কাজ শুরু করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নগরের যে সাতটি খাল খননের দরপত্র দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কাজ শুরু করতে পারিনি, সেই খালগুলো খনন করা হবে। সামনে বর্ষা, এর আগে যতটুকু পারি খাল খনন করব। এতে নগরবাসী কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাবে।’