পায়রা বন্দরের নৌবহরে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক আটটি নৌযান
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌবহরে যুক্ত হলো টাগবোটসহ অত্যাধুনিক আটটি নৌযান। এর মধ্য দিয়ে পায়রা বন্দর আরও এক ধাপ সক্ষমতা অর্জন করল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। এরপর রাবনাবাদ চ্যানেলে এসব নৌযানের মহড়া প্রদর্শিত হয়।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. আজিজুর রহমান জানান, বন্দরের পরিচালনা (অপারেশনাল) কার্যক্রমের জন্য দুটি টাগ বোট, একটি বয়ালেয়িং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট, দুটি নিরাপত্তা টহল জলযান ও দুটি পাইলট বোট যুক্ত করা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নেদারল্যান্ডসের ডামেন শিপইয়ার্ডে একটি এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে একটি টাগবোট তৈরি করা হয়েছে। ডামের শিপইয়ার্ডে তৈরি টাগবোটের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার প্রস্থ ১১ মিটার। এর ধারণ ক্ষমতা ৪০০ টন। অপর দিকে খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি টাগবোটের দৈর্ঘ্য ৩৫ দশমিক ৫ মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। এর ধারণক্ষমতা ৫০০ টন। ১৪ থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে এসব বোট চলতে পারবে। কোনো বিদেশি জাহাজ বা দেশীয় নৌযান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে দ্রুত উদ্ধার করা এবং চ্যানেলে জাহাজ আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে টাগবোট সাহায্যকারী জাহাজ হিসেবে কাজ করবে।
অত্যাধুনিক বয়ালেয়িং ভেসেলটি নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে। এটা তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে আসা পণ্যবাহী ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল বহনকারী জাহাজকে পথ দেখিয়ে আনা-নেওয়ার কাজ করে এ ভেসেল।
বন্দর সূত্র আরও জানায়, সার্ভে বোট ১০ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারে। নদী-সাগরের পানি কমছে না বাড়ছে তা-ও সার্ভে বোট দিয়ে পরিমাপ করা হয়। বন্দরের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে প্রতি মাসেই এ কাজগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষ করে থাকে। আর নিরাপত্তা টহল জলযান দুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পাইলট বোট দুটির দৈর্ঘ্য ৩৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার। এগুলো তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বন্দর থেকে পাইলটদের বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজে নিয়ে যাওয়া এবং বহির্নোঙরে থাকা জাহাজ থেকে পাইলটদের বন্দরে ফিরিয়ে আনার কাজ করে এ বোট।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরীফুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দর যেহেতু দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত, সে কারণে দক্ষিণের জনপদ এবং নদ-নদীর নামে এসব জলযানের নামকরণ করা হয়েছে। নতুন এসব জাহাজ পায়রা বন্দরের নৌবহরে যুক্ত হওয়ায় বন্দরের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়েছে।