চালক-সুপারভাইজার তর্কের পর বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুজনের
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বিআরটিসির একটি বাস সড়কে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বাসের ১২ জন যাত্রী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কানুদাসকাঠি এলাকার বরিশাল-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাসটির সুপারভাইজার মো. মেহেদী (৪৫) ও যাত্রী মো. পারভেজ (৩৫)। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পুলিশ ও আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে বরিশাল থেকে পাথরঘাটার কাঁকচিড়ার দিকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি বাসটি রাজাপুরের কানুদাসকাঠি এলাকায় এসে আঞ্চলিক সড়কে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর বাসটি সড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। সেখান থেকে ছিটকে ১০০ গজ দূরের একটি গাছে আবার ধাক্কা খেয়ে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। পরে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের একজন ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সদস্য খান শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাস ছাড়ার পর থেকে চালক ও সুপারভাইজারের মধ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কয়েক দফায় বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ কারণে বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এরপর বাসটি কানুদাসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহমেদ শফিক বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।