কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি সালিসি বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডার জেরে নিজ সংগঠনের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের কর্মী মামুনুর রশিদ (২২) উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের চান্দা এলাকার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় মামুনুরের পিতা আবুল হাশেম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১২ জনকে আসামি করে গত রোববার লোহাগাড়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি তানভীর আহমদ (২৬) উপজেলার আলফাজ মোস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এজাহারনামীয় অন্য চারজন তাঁর অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার একটি সালিসি বৈঠকে মামুনুরের সঙ্গে তানভীরের বাগ্বিতণ্ডা হয়। ওই দিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামুনুর লোহাগাড়া থানার কাছে একটি টার্ফে ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তানভীর তাঁর অনুসারীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে মামুনুরের ওপর হামলা চালান। হামলায় মামুনুরের মাথায় জখম হয় এবং ডান পায়ের গোড়ালির রগ কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মামুনুরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামুনুর উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক পদের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন। হামলায় তাঁর পায়ের রগ কেটে গেছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভীরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুদ্দৌহা প্রথম আলোকে বলেন, এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। দ্রুত তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।