পটুয়াখালীতে আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী। ঘটনাটি পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার বাদুরা হাট এলাকার ছৈলাবুনিয়া গ্রামের।
আজ রোববার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সত্যরঞ্জন পাটনী। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও তাঁদের আইনজীবী মো. বাদশা আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সত্যরঞ্জন পাটনী অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের সম্পত্তি নিয়ে ৪ একর সাড়ে ৮৪ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে সহকারী জজ আদালতে ২০২১ সালে বণ্টন মামলা হয়। ওই মামলায় ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সম্পত্তি ডিক্রি পান। এর বিরুদ্ধে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩৪/২০২৩ নম্বর আপিল করলেও আদালত আপিল নামঞ্জুর করেন। এরপর আদালত থেকে প্রতিনিধি গিয়ে সম্পত্তির মাপজোখ করে নিশান ও স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু মো. আ. রব হাওলাদার-মফেজ উদ্দিন সিকদাররা গায়ের জোরে সম্পত্তি ভোগদখল করে নেয়। আদালতের রায় পাওয়া জমি থেকে রোববার ধান কেটে নেন দখলকারীরা। এ ব্যাপারে থানা-পুলিশ সেনা ক্যাম্পকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে দখলকারীদের অব্যাহত হুমকি–ধমকিতে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে রব হাওলাদার ও মফেজ উদ্দিনদের দাবি, তাঁরা সত্যরঞ্জন পাটনীর বংশের কয়েকজন নারীর কাছ থেকে ওই সম্পত্তি কিনেছেন। যদিও হিন্দু আইন অনুযায়ী নারীরা তাঁদের বাবার বাড়ির সম্পত্তির ভাগ পান না।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী বলেন, ‘গত দেড় মাস আগে আমার মক্কেলরা আদালতের রায়ের পর চূড়ান্ত ডিক্রি জারি অনুযায়ী জমিতে নিশান ও স্থায়ী পিলার দিয়ে আসে। বিবাদীরা স্থানীয়ভাবে শক্তি প্রদর্শন করে আসছে। আমার মক্কেলরা ভীত–সন্ত্রস্ত, তাই তাঁরা এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।’