ঘোড়াশালে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে হেঁটে রেললাইন পার হওয়ায় সময় ট্রেনের ধাক্কায় রেনু বেগম (৬৮) নামের শ্রবণপ্রতিবন্ধী এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনসংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেনু বেগম ঘোড়াশাল পৌর এলাকার আলীরটেক গ্রামের কদম আলীর স্ত্রী। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে ট্রেনটি পলাশের ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকা অতিক্রমের সময় রেনু বেগম হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় তিনি রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
নিহত রেনু বেগমের ছেলে আবুল হাশেমও (৪০) একজন শ্রবণপ্রতিবন্ধী। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন তিনি। আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, রেলের জায়গায় থেকে তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি করে উপার্জন করেন। তাঁর মা প্রতিদিনের মতো রেলস্টেশনে ভিক্ষা করতে বের হয়েছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর বিষয়টি দুর্ঘটনা হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত চান না তিনি।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, তাঁরা ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন। লাশ উদ্ধার বা পরবর্তী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো ভূমিকা নেই। নিহতের স্বজনেরা আইনি জটিলতায় জড়াতে চান না বলে হয়তো তাঁদের কিছুই জানাননি।