স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রেলওয়েতে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রেলওয়েতেও স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন রয়েছে। শিগগিরই শূন্যপদ পূরণ করে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের রেলমন্ত্রী হিসাবে এটিই প্রথম তাঁর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন। আজ সকালে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম কারখানায় এসে পৌঁছলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান। পরে রেলমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কারখানায় স্থাপিত শহীদদের স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই, পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শ্রমিক লীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জনবল দিন দিন কমে আসছে। ২ হাজার ৮৫৯ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৮৬০ জন কর্মরত রয়েছেন। রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেলসেতুর গার্ডার তৈরি হতো। কারখানাটি আবার সচল করা হবে। তাঁরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন রেলওয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য।
জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, রেলের অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। এ কাজে দুর্বৃত্তরা জড়িত। রেলের জন্য যেটুকু জমির প্রয়োজন, তা দখলমুক্ত করা হবে। রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়নে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পরে রেলমন্ত্রী কারখানার ২৯টি শপ (উপকারখানা) ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।