নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাদ থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাদ থেকে আপরশি মারমা (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আপরশি মারমা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বান্দরবানে। তিনি আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
আবদুস সালাম হলের একই কক্ষের শিক্ষার্থী ও আপরশি মারমার সহপাঠী নিজাম উদ্দিন বলেন, আপরশি মারমা প্রায়ই মালেক উকিল হলে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে তাঁর বন্ধু ও বড় ভাইদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তবে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল, সে ব্যাপারে তাঁরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের ছাদে আপরশি মারমা নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ ঝুলে থাকার খবর পান। তাৎক্ষণিক তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপর তিনি নিজে সেখানে যান। তিনি গিয়ে দেখেন, হলের পাঁচতলা ভবনের ছাদের ওপরে বসানো পানির ট্যাংকের রডের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আপরশি মারমার লাশ ঝুলছে। প্রাথমিকভাবে লাশ দেখে তাদের মনে হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটল, সেটা তাঁরা জানতে পারেননি। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের খবর পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল রাতে তিনি বলেন, আপরাশি মারমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার করা লাশটি বর্তমানে সুধারাম থানায় আছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।