লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা, যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুবদলের তিন নেতাকে সংগঠনটির সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ভূঁইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই তিন নেতা হলেন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র দাখিলের সময় বেঁধে দেওয়া ছিল। ওই দিন সকাল থেকেই কয়েকজন ব্যবসায়ী দরপত্র জমা দিতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন জানিয়ে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়কের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ (জুলহাস) কয়েকজনকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানায়, দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোনে জানানো হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়ি নিয়ে সদর হাসপাতালের চত্বরে ঢোকেন। ওই সময় অনেকেই হাসপাতালের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। সেনাসদস্যরা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্তের পর আটক করেন। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ না করায় গত বুধবার বিকেলেই সদর থানার পুলিশ মুচলেকা নিয়ে আটক জাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে দেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে লালমনিরহাট সদর থানায় সার্বিক ঘটনা নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।