টেকনাফে তিন রোহিঙ্গা ও ছয় কৃষককে অপহরণের অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের কানজরপাড়া গ্রামে খেতে কাজ করার সময় ছয়জন কৃষক ও তিন রোহিঙ্গা অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপহৃত স্থানীয় বাসিন্দারা হলেন আবুল হোছনের ছেলে আবু বক্কর (২৫), নুর আলমের ছেলে মো. আলম (২৭), বাচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৪), জলিল আহমদের ছেলে মো. বেলাল (২৫), ইউনুস আলমের ছেলে মো. আনোয়ার (২৬), নজর আলীর ছেলে নুর হোছন (২৫)। তাঁরা সবাই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আরও তিনজন রোহিঙ্গাও অপহৃত হয়েছে। তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তবে তারা তিনজন উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে কৃষকদের অপহরণ করে বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাশেম বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে খেতখামারে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হতে পারে। কারণ, এর আগেও মুক্তিপণ আদায়ের জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা লোকজন ধরে নিয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরে তাদের ভয়ে স্থানীয় পাহাড়ে চাষাবাদ কমে গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পুলিশের একটি দল গেছে। তবে কারও পরিবারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরও পুলিশ তাঁদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য বলছে, গত এক বছরে বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৩ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৭ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৯ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।