দেশে এল এমভি আবদুল্লাহ, এখন কুতুবদিয়ার কাছে
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রায় এক মাস পর আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে। জাহাজটি আজ সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় এসে নোঙর করার কথা রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জাহাজ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বেলা তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখন কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছি। আশা করি, কুতুবদিয়ায় সন্ধ্যা সাতটায় নোঙর করতে পারে।’
এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হচ্ছে এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান।
কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। অর্থাৎ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছালেও জাহাজটির ২৩ জন নাবিক স্বজনদের কাছে ফিরতে আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে।
নাবিকেরা কখন ফিরতে পারবে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত আজ সোমবার বেলা তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক যোগদান করবে আজই। এ জন্য একটু পরে নতুন নাবিকেরা রওনা হচ্ছেন কুতুবদিয়ায়। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকেরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা দুপুর নাগাদ সদরঘাটে কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের এই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।