আ.লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার রায় বুধবার, ১৯ আসামি কারাগারে

এ কে এম ইকবাল আজাদফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ১৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে আগের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আবেদন করেন ওই ১৯ আসামি। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী বুধবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ইকবাল আজাদ সরাইল উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ইকবাল আজাদের স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনজনের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৩১২ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইকবাল আজাদ থানা ভবনের কাছে খুন হন। পরদিন তাঁর ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম (প্রয়াত), সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক মিয়া (প্রয়াত), তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সম্পাদক তৎকালীন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন কমান্ডার ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহফুজ আলী, সাবেক সহসভাপতি আল ইমরান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল আসাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ ২৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আসামিদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন, ছয়জন পলাতক (মধ্যপ্রাচ্যে)।

আজ দুপুরে আগের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আবেদন করে ২৯ জনের মধ্যে ১৯ জন আসামি আদালতে হাজির হন। দুজন আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি অশোক কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মামলায় ন্যায় ও সঠিক বিচার পাব। সোমবার আদালতে এ মামলায় তর্কবিতর্ক শেষ করেছি। এ মামলার রায়ের জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এ মামলায় ২৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। দুজন মারা গেছেন ও ছয়জন পলাতক। দুজন আজ আদালতে হাজির হননি। ১৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।