চান্দিনায় নারী এনজিও কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও নারী কর্মীকে নগ্ন করে অর্থ আদায়ের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম শাওন হোসেন (২৫)। তিনি চান্দিনা পৌর এলাকার তুলাতলি গ্রামের বাসিন্দা এবং এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

শাওনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যে ঘটনার হোতা ও মামলার আরেক আসামি স্বপনের শ্বশুরবাড়ি (চান্দিনার এতবারপুর গ্রাম) থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বৈদ্যুতিক শকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৭ মার্চ ইফতারের পর তুলাতলি গ্রামে একটি এনজিওর পুরুষ ও নারী কর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালান কয়েকজন যুবক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বাঁধেন তাঁরা। এরপর ওই নারী কর্মীকে নগ্ন করে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের ‘বৈদ্যুতিক শকার’ দিয়ে শক দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই নারী কর্মীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায় করেন তাঁরা। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ঘটনাটি টের পেয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দিলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে এনজিও কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় মামলা করেন এনজিওটির পুরুষ কর্মী। ঘটনার আট দিন পর এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক মিথুন কুমার মণ্ডল জানান, ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আসামিরা। ঘটনার আট দিন পর শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।