বিদ্যালয়ের ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ প্রদর্শিতের ঘটনায় তদন্ত শুরু
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা প্রদর্শিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তদন্তকাজ শুরু করে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জীবননগর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফিরোজুল ইসলাম এবং উপজেলা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মাহামুদুর রহমান। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিদ্যালয়টির ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা প্রদর্শিত হতে দেখা যায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নিযুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডটি স্থাপন করা হয়। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাসহ শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে লেখা প্রদর্শিত হয়ে আসছিল। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বোর্ডটিতে ওই লেখা ভেসে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান। খবর পেয়ে দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন মিয়া রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় রাতেই ডিসপ্লে বোর্ডের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বিদ্যালয়ের ডিজিটাল বোর্ডে লেখাটি কীভাবে প্রদর্শিত হলো, তা নিয়ে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম পরিষ্কারভাবে কিছু জানাতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ঘটনা তদন্তে জীবননগরের ইউএনও মো. আল-আমীন গতকাল রাতেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ইউএনও বলেন, কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসার কারণ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।