স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে কাজ করায় ফরিদপুরের ১০ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আলী আজগরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়।
যাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ যশোদা জীবন দেবনাথ, সদস্য সুবল চন্দ্র সাহা, মনিরুল হাসান, আবুল বাতিন ও শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ কে আজাদ, খলিফা কামাল উদ্দিন ও শাহ আলম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতি দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করায়, বিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও দলীয় প্রধানের নির্বাচনী জনসভায় অনুপস্থিতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শামিল। দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১১) ধারা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়ার কথা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ কোনো নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র এ ক্ষমতা দেয়নি। তারা বড়জোর সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠাতে পারে। কেন্দ্র তা মানবে কি মানবে না, তা কেন্দ্রের বিচার্য বিষয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ সম্পর্কে আইভী মাসুদ বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন এবং নেতারা তাঁর পক্ষে কাজ করতে পারবেন। আমরা নেত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে একচুলও যাইনি। নেত্রী যদি বলতেন দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া যাবে না কিংবা তাঁর পক্ষে কাজ করা যাবে না, তাহলে আমরা কাজ করতাম না। নেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের শিরোধার্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ না দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী মাসুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরে আসবেন, জনসভা করবেন, এ বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি, চিঠি দেওয়া হয়নি।’
আইভী মাসুদ আরও বলেন, যদি কেন্দ্র থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়, তাহলে তাঁরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। যেহেতু তাঁদের বহিষ্কারের ক্ষমতা জেলা কমিটি রাখে না, তাই এ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদৌ ভাবছেন না।