ঠাকুরগাঁওয়ে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হস্তক্ষেপে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শহরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের খবর জানা যায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসক বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামানকে নির্দেশ দেন। ইউএনও রাত পৌনে ১২টার দিকে মহিলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানে যান। তাঁরা কনের বাড়িতে গিয়ে কনের জন্মসনদ দেখতে চান। এ নিয়ে কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মহিলা পরিষদের কর্মকর্তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে কনের বাবা স্বীকার করেন তাঁদের মেয়ের বয়স ১৫ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ইউএনও তার বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে মেয়েটিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জিম্মায় দিয়ে কনের বাবাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বরপক্ষের সেখানে আসার কথা থাকলেও তারা আর আসেনি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা সেনগুপ্ত বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে দেশের অসংখ্য মেধাবী শিশুর জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাঁরা বাল্যবিবাহ থেকে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রক্ষা করতে পেরেছেন। মেয়েটি যাতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে, সে জন্য তাঁরা পাশে থাকবেন।
ইউএনও আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, বাল্যবিবাহ বেআইনি। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েটিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ বিয়ে আয়োজনের জন্য মেয়েটির বাবা দায়ী। এ কারণে তাঁকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।