চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানা গেছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষ হলেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে।
ওসি তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, অক্সিজেন কারখানা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। এখানে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে। তবে কী ধরনের অবহেলা আছে, সেটা জানতে তদন্ত চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করলেই হতাহত মানুষের নাম–ঠিকানা এজাহারে উল্লেখ করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
কারখানার মালিকপক্ষ এখনো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি জানিয়ে ওসি বলেন, তদন্তে মালিকপক্ষের গাফিলতি পেলে তাদেরও আসামি করা হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হবে। কারখানায় দুর্ঘটনার সময় ২৫ জন শ্রমিকসহ মোট ৪২ জন কাজ করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে কারখানার মালিকপক্ষ এখনো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের কারখানা সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা। বিচ্ছিন্ন লোহার টুকরা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত।
এর আগে গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে বিএম ডিপোতে আগুন থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ৫০ জন। বিএম ডিপো থেকে সীমা অক্সিজেন কারখানার দূরত্ব পৌনে এক কিলোমিটার।