দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পরাজিত মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান ওরফে রূপণকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মী। বুধবার বেলা দুপুরে নগরের সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
বক্তারা বলেন, দলের সঙ্গে বেইমানি করে কামরুল নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীদের তাঁকে চিনে রাখতে হবে। তাঁকে বরিশাল থেকে বিতাড়িত করা হবে।
বিক্ষোভ সভা শেষে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সদ্য বহিষ্কৃত কামরুল আহসানের ছবি সংবলিত ব্যানারে অগ্নিসংযোগ করে পোড়ানো হয়।
সভায় বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সবুজ আকন, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুসফিকুল হাসান, আরিফ সিকদার, হাবিব সিকদারসহ কয়েকজন। তবে এতে মহা
নগর বা দুই জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল আহসান বিকেল বলেন, নির্বাচনে যাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাঁরাই এখানে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। এখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ কোনো নেতা ছিলেন না। মাদক ব্যবসায়ী ও হত্যার মামলার আসামির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয়েছে।
কামরুল আহসান ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। তবে বিএনপিতে তাঁর কোনো পদ-পদবি ছিল না। কামরুলের প্রয়াত বাবা আহসান হাবিব কামাল বরিশাল সিটির বিএনপি দলীয় মেয়র ছিলেন এবং দলের নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শুরুতে নগর বিএনপির নেতারা কামরুল তাদের দলের কেউ নয় বলে দাবি করলেও পরে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অপরাধে ১৮ জনকে দল থেক আজীবন বহিষ্কার করা হয়, তাঁদের তালিকায় কামরুলও ছিলেন। কামরুল নির্বাচনের দুদিন আগে বরিশাল প্রেসক্লাবে তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ সমর্থন করার অভিযোগ তোলার পর থেকে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে দলের একটি পক্ষ নানা সমালোচনা করে বিভিন্ন পোস্ট দেয়।
গত সোমবারের নির্বাচনে কামরুল আহসান টেবিলঘড়ি প্রতীকে ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়েছেন।