মুলাদীতে ভ্যান চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, ৩ ভাই গ্রেপ্তার
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় একটি ভ্যান চুরির অভিযোগে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ সময় ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে তাঁর চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই যুবক।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার মুলাদী থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গলইভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম মো. শামীম আকন (৩২)। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শামীম আকন ওই গ্রামের মৃত সালাম আকনের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. বায়েজিদ, মাইন উদ্দিন ও মনির হোসেন। তাঁরা একই গ্রামের মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
মুলাদী উপজলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোক বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে যতদূর জেনেছি, ওই রোগীর চোখে আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ভ্যান চুরির অভিযোগে ওই যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে গতকাল তাঁর স্ত্রী রেমিজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শামীম আকন প্রথম আলোকে বলেন, দক্ষিণ গলইভাঙ্গা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করেন শাহাব উদ্দিনের ছোট ছেলে বায়েজিদ। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদ তাঁর মুঠোফোনে কল করে তাঁদের বাড়িতে যেতে বলেন। তিনি ওই বাড়িতে গেলে বায়েজিদ ছুরি দিয়ে তাঁর চোখে আঘাত করেন এবং চোখ খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। এরপর বায়েজিদ, তাঁর ভাই মাইন উদ্দিন, মনিরসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন মিলে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।