দক্ষিণ কোরিয়ার সৈকতে গোসলে নেমে নরসিংদীর দুই তরুণের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান সৈকতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নরসিংদীর দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ খবর পাওয়ার পর থেকেই ওই দুই তরুণের পরিবারে মাতম চলছে।
মারা যাওয়া দুই তরুণ হলেন নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে সাকিবুর রহমান ওরফে সঞ্জীব (২৩) এবং একই ইউনিয়নের টেকপাড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে সৈকত হাসান ওরফে শান্ত (২২)।
পরিবারের সদস্যরা জানান, উপার্জনের জন্য ২০২০ সালে সাকিবুর এমপ্লয় পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সৈকত বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান চার মাস আগে। গতকাল কর্মস্থলে ছুটি থাকায় অন্য প্রবাসীদের সঙ্গে তাঁরা দুজন বুসান শহরের সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নামেন। ওই সময় উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যান দুজন। বেলা তিনটার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকর্মীরা সাকিবুরের লাশ উদ্ধার করেন। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটার দিকে একই স্থান থেকে তীব্র ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া সৈকতের লাশও উদ্ধার করা হয়।
সৈকত ওরফে শান্তর বাবা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা জানতে পারি শান্ত আর বেঁচে নেই। মাত্র চার মাস আগে উপার্জনের আশায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিল সে। সরকার যেন আমার ছেলের লাশটা দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়।’
সাকিবুর ওরফে সঞ্জীবের চাচা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘গতকাল দুপুরে আমরা জানতে পারি, সাকিবুর বন্ধুদের সঙ্গে সাগরে গোসল করতে নেমে স্রোতে ভেসে যায়। পরে সেখানকার একদল উদ্ধারকর্মী তাঁর লাশ উদ্ধার করে তীরে তোলেন। সরকারের প্রতি দাবি, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেন দ্রুত সময়ে সাকিবুরের লাশ দেশে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করে।’
এ ব্যাপারে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় সাগরে ডুবে দুই তরুণের মৃত্যুর ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে দুই তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ জানাননি। পরিবারগুলোর পক্ষ হতে সহযোগিতা চাওয়া হলে সরকারিভাবে লাশ দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।’