প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে রাবি ও রুয়েটে সর্বাত্মক কর্মবিরতি

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকেরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনেছবি: প্রথম আলো

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকেরা আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া রাবির অফিসার সমিতি তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ১০টায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

একই দাবিতে রুয়েটের শিক্ষকেরা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। রাজশাহীর এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল রোববার পরীক্ষা চললেও আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকার বলেন, প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তার ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া মানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। এটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আরও পড়ুন

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম।

গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পর ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। এরপরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

গত বছর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যাঁরা নতুন যোগ দেবেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। এর পরিবর্তে নতুন যোগ দেওয়া কর্মীদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।