গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ পরিবারের, পুলিশের ধারণা দুর্ঘটনা

গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ (৪৫)ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোস্তাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মোস্তাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।

মোস্তাক আহমেদ খোলাহাটি ইউনিয়নের উত্তর আনালেরতাড়ি গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।

মোস্তাকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা আসামিরা ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন। তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোস্তাক আহমেদ বাড়ি থেকে বের হন। রাত দুইটার দিকে তিনিসহ মোট তিনজন মোটরসাইকেলে করে একই উপজেলার কাবিলের বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর দুজন হলেন জুয়েল রানা ও বাবু মিয়া। তাঁরা তিনজন এলাকায় একই সঙ্গে চলাফেরা করতেন। জুয়েল রানা মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। মাঝে ছিলেন মোস্তাক। জুম্মাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে মোস্তাক আহমেদসহ তিনজন আহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা ঘটনাস্থল থেকে ইউপি সদস্য মোস্তাককে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে দেখান। এরপর সেখান থেকে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোস্তাকের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে থাকা জুয়েল রানা ও বাবু মিয়া আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে স্বজনেরা রাতেই মোস্তাক আহমেদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ ইউপি সদস্যের লাশ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সড়ক দুর্ঘটনায় মোস্তাক আহমেদ মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে থাকা জুয়েল রানা ও বাবু মিয়া আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।