সড়কের পাশে পড়েছিল ঘোড়ার গাড়িচালকের লাশ, স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মো. রুবেল (২২) নামে এক তরুণকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গোলাইমোড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন গত রোববার সন্ধ্যায় ডেকে নিয়ে রুবেলকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেলের স্ত্রী মারজিয়া খাতুন ও শ্বাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রুবেল ঘোড়ার গাড়ি চালাতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মেজবার শেখের মেয়ে মার্জিয়ার সঙ্গে রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। মার্জিয়ারও দ্বিতীয় বিয়ে। গত রোববার তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে একটি মৃত কন্যা সন্তান জন্ম দেন। সন্ধ্যায় স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে রুবেলকে ফোন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডাকা হয়। এরপর আজ সকালে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রুবেলের মা পপি খাতুন বলেন, রোববার সন্ধায় তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আজ সকালে সড়কের পাশে ছেলের লাশ পড়েছিল। ছেলের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, স্ত্রী ও ভাইয়েরা মিলে মারধর করে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি থানায় মামলা করবেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরের একাধিক স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।