সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি টাকার গরমিলের ঘটনায় ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা গরমিলের ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আফজাল হোসাইন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তবে কীভাবে এত টাকার গরমিল হলো, সে ব্যাপারে এখনো কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক ওই তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে গতকাল শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অর্থ-সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই কার্যদিবসের মধ্যে এ–সংক্রান্ত নথি দুদকে পাঠানো হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (জ্যেষ্ঠ মুখ্য কর্মকর্তা) হারুন বিন সালাম, কর্মকর্তা (ক্যাশ) সুব্রত চক্রবর্তী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু জাফর। আজ অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একটি তদন্ত দল ওই শাখায় গিয়ে দিনব্যাপী তদন্ত ও নিরীক্ষা (অডিট) চালিয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক মো. আফজাল হোসাইন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের অডিট দলে আমি ছিলাম। কোনো সংবাদের ভিত্তিতে নয়; বরং নিয়মিত অডিট করতে এসেই গরমিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তাকে হিসাব মিলিয়ে দিতে সারা দিন সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত হিসাব মেলাতে পারেননি। এ জন্য নিরুপায় হয়ে আমরা তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করি।’
আফজাল হোসাইন আরও বলেন, ‘টাকার গরমিল কোথায়, কীভাবে হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্ত ও অডিট চলছে। তদন্ত শেষে এ সম্পর্কে জানানো হবে। কোনো ঋণগ্রহীতাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে কি না, সে ব্যাপারেও আমরা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে পারছি না।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যাপারটি দুদকের বিষয়। তারাই এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে। দুই কার্যদিবসের মধ্যে এ–সংক্রান্ত নথিপত্র দুদকে পাঠানো হবে।